শেখ খায়রুল ইসলাম : সাতক্ষীরা-যশোর সড়কের সদর উপজেলার তুযুলপুরে শনিবার বিকেলে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা লেগে এক যাত্রী নিহত ও কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া সকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে মারা গেছেন রীতা রানী নামে এক স্কুলশিক্ষক।

সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি গোলাম কবির জানান, সাতক্ষীরা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল স্বপ্নীল পরিবহনের একটি বাস। দ্রুতগামী বাসটি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তুযুলপুর এলাকায় বিপরীতগামী একটি ইঞ্জিনভ্যানকে ধাক্কা দেয়।পরবর্তীতে বাসটির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছে ধাক্কা লাগায়। এতে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় ও কমপক্ষে ২০ জন যাত্রী আহত হয়। জানালা দিয়ে পালিয়ে যায় চালক ইব্রাহিম হোসেন। আহত যাত্রীদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পৌরসভার রইচপুর এলাকার মাহবুবুর রহমান বাবু (৩৫)।

তিনি ঘের ব্যবসায়ী ছিলেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় অন্যান্য আহতরা হলেন- ইঞ্জিনভ্যান চালক সদর উপজেলার সুপারীঘাটা গ্রামের কার্তিক দাস (২৮), আশাশুনির প্রতাপনগরের শামীম হোসেন (২৯), সাতক্ষীরা পৌরসভার ইটাগাছা এলাকার খোকন সরদারের ছেলে সোলাইমান হোসেন (২৫), সাতক্ষীরা পৌরসভার রইচপুর এলাকার রজব আলীর ছেলে ফারুক রহমানসহ কমপক্ষে ২০ জন। এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি বলে জানান ওসি।অপরদিকে, শ্যামনগর থানার ওসি কাজী ওয়াহেদ মুর্শেদ জানান, স্কুলশিক্ষক রীতা রানী সাপেরদুনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

শনিবার তিনি তার স্বামীর সাথে মোটরসাইকেলে বড়কুপট গ্রাম থেকে শ্যামনগর-আটুলিয়া সড়কে স্কুলে আসছিলেন।পথিমধ্যে আটুলিয়া এলাকায় তার ব্যবহৃত ওড়না মোটরসাইকেলের চাকায় পেঁচিয়ে গেলে তিনি মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান এবং বিপরীত থেকে আসা মোটরভ্যানের ধাক্কায় মাথায় গুরুতর আঘাত পান।

স্থানীয়রা রীতা রানীকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা নিয়ে মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ওসি।

 

 

কলমকথা/ বিথী